কিন্তু কেন এই ঝটিকা বৈঠক! মনে করা হচ্ছে এটা বিশ্বজিৎ-তন্ময় এফেক্ট। পালা করে দল ছে়ড়েছেন দুই বিধায়ক। সদ্য দলত্যাগী দুই বিধায়কের একজন বিষ্ণুপুর জেলার, অন্য জন বনগাঁ জেলার। মনে করা হচ্ছে এই দুই জেলায় ভাঙন আটকাতেই এই দুই সাংগঠনিক জেলার সব বিধায়ককে জরুরি ভিত্তিতে দলের সদর দফতরে ডাকা হল। সঙ্গে বাঁকুড়া সংগঠনিক জেলার বিধায়কদেরও ডাকা হল।
advertisement
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, বিজেপি এই তিন সাংগঠনিক জেলার বৈঠক করলেও এই তিন জায়গা থেকে খুব বড় মুখ এখনই তৃণমূলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। বনগাঁয় সুব্রত ঠাকুর শান্তনু ঠাকুরের বলয় থেকে বেরোতে চাইবেন না। অন্য দিকে অশোক কীর্তনিয়া-মনস্পতি দেবের শিবিরের দূরত্ব থাকলেও অশোক কীর্তনিয়ার কোনও খেদ নেই দল নিয়ে। একই কথা প্রযোজ্য বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের ক্ষেত্রেও। তাহলে কেন হঠাৎ বৈঠক! রাজনৈতিক মহল বলছে, বিধায়কদের নীচুতলার মনোবল ফেরানোর টাস্ক দিতে পারে বিজেপি।
তবে নেতারা বিলক্ষণ জানেন, তৃণমূলের ঘরওয়াপাসির তালিকায় এই তিন জেলার খুব বড় নাম না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, অবশ্যই প্রশ্ন থাকছে, বিজেপি কেন অন্য জেলাগুলিকে বৈঠকে ডাকাল না? পার্থসারথী চ্যাটার্জী-র মতো বিধায়কদের নিয়ে কি নিশ্চিন্ত বিজেপি?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজই উত্তরবঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। সেই বৈঠকে কারা থাকছেন, কারা থাকছেন না তা সামনে এলেই বোঝা যাবে, উত্তরে বিজেপির শক্তি কতটা অটুট।
-ইনপুট সৌরজ্যোতি ব্যানার্জী।