বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আশা লাকড়াকে বাংলার সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে সহ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে। রাঁচি পুরসভার মেয়র তথা দলের জাতীয় সম্পাদককে এ রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়ার নেপথ্যে যে আদিবাসীদের ভোট ব্যাঙ্ক কৌশল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অত্যাচারী বলেও কটাক্ষ করেন আশা লাকড়া। আদিবাসীদের মন পেতে ‘আশা’-তেই আশা রাখছে বঙ্গ বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন-গুরুত্ব বাংলাকে, বিজেপির সর্বভারতীয় কিষান মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবির উত্তরবঙ্গে
দায়িত্বপ্রাপ্ত আশা লাকড়া, রাজ্য বিজেপিতে এই প্রথম কোনও মহিলা সহ- পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে। গত নির্বাচনগুলিতে আদিবাসীদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই সমর্থন ধরে রাখতেই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হল আশা লাকড়াকে বলে মনে করা হচ্ছে। আশা লাকড়া একদিকে যেমন রাঁচি পুরসভার দীর্ঘদিনের মেয়র, পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের মুখ হিসেবেই পরিচিত। সেই আদিবাসী মুখেই আসন্ন পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি শিবির মনে করছে, উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল এখনও বিজেপির সঙ্গেই আছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে সদ্য বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন স্তরে যে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে তাতে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে সুনীল বনসলকে। অন্যদিকে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের পূর্ণ সময়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গল পাণ্ডের পাশাপাশি বিশেষ করে আদিবাসী ভোট সুরক্ষিত রাখতেই আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে অমিত মালব্যর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও নিযুক্ত করে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আশা লাকড়া-সহ এই শীর্ষ নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপিতে কতটা রাজনৈতিক ফসল ফলাতে পারে তার উত্তর দেবে সময়ই।