এ দিন বিধানসভায় মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্পিকার৷ সেখানেই সাংসদ, বিধায়কদের মতো জনপ্রতিনিধিদের কথা বলার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক এবং সচেতন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তখনই সাম্প্রতিক তাপস- সুদীপ সংঘাত নিয়ে স্পিকারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা৷
আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টেও বিস্ফোরক সৌমিত্র, বিজেপি-র মাথাব্যথা বাড়াচ্ছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ
advertisement
তৃণমূলের দুই সাংসদ এবং বিধায়কের নাম না নিলেও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সাংসদ হোন বা বিধায়ক, প্রত্যেকের বাক সংযম থাকা উচিত৷ লক্ষ্মণরেখা মেনে চলা উচিত৷ বিধানসভার অভ্যন্তরে বেশ কিছু নিয়ম আছে৷ ফলে কটূ কথা বা অসংসদীয় কিছু বললে বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে সেগুলি বাদ দেওয়া যায়৷ কিন্তু বিধানসভার চৌহদ্দির বাইরে তো সে সুযোগ নেই৷ ফলে সেখানে জনপ্রতিনিধিদের আরও সংযমী হতেই হবে৷'
গতকাল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে চটিপেটা করার নিদান দিয়েছিলেন৷ সেই মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন স্পিকার৷
আরও পড়ুন: ফল ঘোষণার আগেই বেনিয়মের অভিযোগে বিস্ফোরক থারুর, অভিযোগ খণ্ডন খাড়গের... তুঙ্গে কংগ্রেসের ডামাডোল
সম্প্রতি, সুদীপ - তাপস বাক তর্জায় উঠে আসে সাদা হাতি আর সারমেয় প্রসঙ্গ। দলের দুই সিনিয়র নেতার কথার লড়াইয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক দল৷ এবার নাম না করেই দু' জনের সমালোচনা করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ৷
সম্প্রতি লোকসভায় কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না - এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা প্রকাশকে ঘিরে জোর বিতর্ক হয়। কটূকথা নিয়ে স্পীকার সতর্ক করলেও, এখনই রাজ্য বিধানসভায় তেমন কোন রুলও বুক তিনি চালু করতে চান না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তার মতে, বিধানসভায় বিধায়কদের আচরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে। ফলে, নতুন করে কোন রুল বুকের দরকার নেই।