গতকালই এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জ্যোৎস্না বর্মন নামের এক শিক্ষিকার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার এবং অন্য আরেক শিক্ষিকা শিখা দাস উভয়ের ক্ষেত্রেই রক্তচাপ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল।সূত্রের খবর, এখনও মাঝে মধ্যেই বমি হচ্ছে তাদের। ডায়েরিয়া হয়েছে বিষক্রিয়ার ফলেই। এখনও শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাঁদের। মাঝেমধ্যে খিঁচুনি হচ্ছে। আচ্ছন্ন ভাব রয়েছে এখনও। চোখে দেখতে অসুবিধা হচ্ছে।
advertisement
গতকাল বিকাশ ভবনের সামনে বদলির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলাকালীন এই শিক্ষিকারা ইঁদুর মারার অরগানোফসফরাস জাতীয় বিষ খেয়েছিলেন।এই কীটনাশক বেশি পরিমাণে পান করলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চিকিৎসক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের ইন্ট্রাফ্লুইড দিয়ে টক্সিন বার করা হয়েছে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষনে রেখেছে তাঁদের। আগামী ২৪ ঘন্টা আরও কড়া পর্যবেক্ষনে রাখা হবে তাদের। এর পাশাপাশি অক্সিজেন চলছে, স্যালাইন চলছে। চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে রোগী সুস্থ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অন্য দিক আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন শিক্ষিকার মধ্যে দুজনের অবস্থা অনেকটাই ভালো। তবে পুতুল মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উদ্বেগজনক। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে
চিকিৎসকরা তাকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বমি , পেশিতে যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা এবং আচ্ছন্ন ভাব রয়েছ।
তবে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওয়াশ করায় এখনও পর্যন্ত প্রায় কারও মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। তবুও যে তিন শিক্ষিকা আশঙ্কাজনক তাদের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।