২০১১ সালের উপনির্বাচন ও ২০১৬ সালের সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। আর ২০২১ সালের নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ২৮ হাজার ভোটে জিতেও, ২১ মে ভবানীপুর বিধানসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাই এই আসনে যে আবারও মমতা প্রার্থী হবেন, তা নিশ্চিত বলেই ধরে নিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাই ভোটের তারিখ ঘোষণার আগেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তারা।
advertisement
গত ১০ বছর ধরে নিজের বাড়ির পাশে ভবানীপুর (Bhawanipur) কেন্দ্র থেকে লড়াই করেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১-এ ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা। স্বেচ্ছায় ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী লড়েছেন অন্যতম স্পর্শকাতর কেন্দ্র – নন্দীগ্রাম থেকে। রাজ্যে নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার বহু আগেই তিনি নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চান।
উপনির্বাচনের (By election) কথা উঠতেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজার ভোটে জিতে যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। দলের সকলেই চান, চেনা ভবানীপুর থেকেই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে নামুন মমতা। তাই তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে নতুন স্লোগান। যদিও রাজ্যে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। দ্রুত তা ঘোষণার দাবিতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে হয়তো হতে পারে উপনির্বাচন। তবে তা যখনই হোক, প্রস্তুতি ভালভাবেই সেরে নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিশেষত যে কেন্দ্রের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে তো বাড়তি নজর থাকবেই। নতুন স্লোগানটি তারই প্রমাণ।