লোকের দোকানের কাজ ছেড়ে ২০১৫ সাল থেকে নিজের ব্যবসা শুরু করলেন তিনি। ফলের জুসের ব্যবসা করেন ডেকার্স লেনে। চারিদিকে ফল সাজানো, ধূপকাঠিটা সবে সবে জ্বালিয়ে ঠাকুরকে দিয়েছেন, ব্যবসার প্রথম সকাল। ফ্রেস মনে নারয়ণ বাবু। নিউজ 18 বাংলাকে বললেন তাঁর বাংলার অভিজ্ঞতার কথা। বিজেপি শাসিত রাজ্য ওড়িশায় বাংলার শ্রমিককে অপমান করা হচ্ছে। বাংলাদেশী সন্দেহে ধরে রাখা হচ্ছে। প্রতিবাদে পথে নামতে হচ্ছে বাংলার শাসক দলকে। অথচ ১৯৮৪ সালে বাংলায় আসা নারায়ণ রাউতকে ২০২৫ সালে এসেও একফোঁটা অপমান করেনি কেউ। নিজেই জানালেন সে কথা।
advertisement
আরও পড়ুন – এক বউ বেশিদিন ভাল লাগে না, তাই বারবার বিয়ে, ৬ নম্বর বউ এবার নামল আসরে, এবার কী হবে
‘ওড়িশায় জন্ম বলে কলকাতায় আমাকে কেউ অপমান করেনি। ব্যবসা করতে গিয়ে কিছু সমস্যা আছে ঠিকই তবে তা কোনওভাবেই ভাষার জন্যে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে আপন করেছে কলকাতা, আমিও আপন করে নিয়েছি বাংলাকে। শুনতে শুনতে বাংলাও শিখে ফেলেছি। এখানকার দুর্গাপুজো আমার দারুণ লাগে। প্রতিবার দুর্গাপুজো মিস করি না। এখানেই থাকি।’
কথা বলতে বলতে একজন খদ্দেরকে আমের জুস বানিয়ে দিলেন নারয়ণ রাউত। ফলের রসের সঙ্গে এক এক করে মিশল আমসত্ত্ব, কিসমিস, মোয়া, মিষ্টি। আর ওড়িশাভাষী এই নারায়ণ রাউতও গত ৪১ বছর ধরে মিশে গেলেন বাংলায় বাঙালির সঙ্গে। এখানেই তো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে আলাদা বাংলা। এই বাংলা ভাষার অস্মিতাকে সামনে রেখেই ২৬-র নির্বাচনের রূপরেখা বানাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। সেই ইঙ্গিত মিলেছে ২১ জুলাই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণে। বিরোধীরা যাই বলুক, নারায়ণ রাউতরা যখন বলেন “বাংলা আমাকে আপন করেছে” তখন বোঝা যায় বাংলায় সহমর্মিতা হারিয়ে যায়নি।
Sudipta Sen