রেলওয়ে আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হুগলি, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ল্যান্ড একুইজিশন হুগলি এবং সাব ডিভিশনাল অফিসার আরামবাগ) সঙ্গে ভাবাদিঘি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ অনুযায়ী ভাবাদিঘি এলাকার ১.২৪ একর জমি ১৬.৭.২০১২ তারিখে এবং ১.৮১ একর জমি ১২.০৩.২০১২ তারিখে রেল কর্তৃপক্ষকে (রেলওয়ে অথরিটি) জমি হ্যান্ডওভার করা হয়েছিল । রেলওয়ে প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ১৬ জুলাই তারিখ থেকে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কাজ শুরু করার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া যাওয়া এখন আরও সহজ! সোমবারই শুরু হতে পারে ভাবাদিঘি রেল প্রকল্পের কাজ
এই পরিপেক্ষিতে রেলওয়ে আধিকারিকরা পুনরায় রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রজেক্টটি চালু করার জন্য অনুমতি নেন। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প সংক্রান্ত একটি মামলা উচ্চ আদালতের নজরে আসে। তার পরে আদালতের নির্দেশে কাজ শুরু করার ব্যাপারে সমস্ত সহযোগিতা করতে বলা হয়। পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এলাকা পরিদর্শনের সময়ে এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভবাদিঘির স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন। গ্রামবাসীদের কাছে ভাবাদিঘি এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে, স্থানীয় জীবিকার উপর কোনও বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পটির মধ্যে গোঘাট – কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে লাইন সংযোগ এর কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।