মুখ্যমন্ত্রী সোমবার নবান্ন থেকে বলেন, "আমরা দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি গড়তে চলেছি। এই অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হতে চলেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এই অ্যাকাডেমি অনগ্রসর শ্রেণির সাহিত্যকে তুলে ধরবে।"
বাংলায় দলিক সাহিত্যের ধারা একই সঙ্গে সমৃদ্ধ এবং পুরনো। কিন্তু এতদিন সেই সাহিত্যকে আলাদা করে তুলে ধরার কোনও আয়োজন হয়নি। সূত্রের খবর এই ধারাকে বদলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান প্রান্তজনের কথা উছে এসেছে যে সাহিত্যে, যে সাহিত্যের প্রান্তজনের কলমেই বিকাশ তা আরও আলোয় আসুক।
advertisement
এক সরকারি আধিকারিক বলছিলেন, " যেমন ধরুন মনোহর মৌলি বিশ্বাসের লেখালেখি দেশজুড়েই বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য। অথচ তাঁর সাহিত্য এখানে খুব বেশি মান্যতাই পায়নি। অ্যাকাডেমি এই ধরনের মানুষের লেখালেখিকেই একজায়গায় করবে।
মুখ্যমন্ত্রী এই অ্যাকাডেমির দায়িত্ব দিতে চান মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। 'ইতিবৃত্তে চণ্ডাল জীবন'-এর মতো গ্রন্থ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কলমকে সারা দেশে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও গত ২৩ বছরের গ্লানিময় জীবন থেকে অব্যহতি মেলেনি। সম্প্রতি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসায় তিনি হস্তক্ষেপ করেন। গত ২৪ অগাস্ট মনোরঞ্জনকে বদলি করা হয় আমতলার বিদ্যানগর পাবলিক লাইব্রেরিতে। ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন, তার মধ্যেই আরও গুরুদায়িত্ব।
জীবনে অনেক গ্লানি কাছ থেকে দেখেছেন মনোরঞ্জন, 'ভদ্রলোকের পৃথিবী' থেকে সেই জীবন কয়েক যোজন দূরে। তিনি মাথায় থাকলে তাই দলিত অ্যাকাডেমি যথাযোগ্য ভাবে সংরক্ষণ করতে পারবে দলিত সম্প্রদায়ের এই মর্মন্তুদ ইতিহাস ও বহমানতা, বিশ্বাস সব মহলেরই।