আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। আর তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রটি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যে কেন্দ্রের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের লিগাল সেলের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে মলয় ঘটককে বাবুলের তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'এটা দলের ব্যাপার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত'। ২০১৪ থেকে টানা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর আমলে হিন্দুস্তান কেবলস, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড সহ একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রুগ্ন হয়েছে। অনেক কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থায় তালাও ঝুলেছে। বহু মানুষ অসময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অথচ সাংসদ তথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনে কোনও ভূমিকা নেননি বলে অভিযোগ মলয় ঘটকের।
advertisement
বাবুলকে খোঁচা দিয়ে মলয় ঘটক বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে থাকেন যে, 'ওনাকে (বাবুল সুপ্রিয় ) তো আসানসোলের মানুষ দেখতেই পান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আসানসোলের নানান উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। আগামী দিনেও শহরকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। অথচ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ভ্রান্ত নীতির শিকার আজ গোটা বাংলার মানুষ। সস্তার রাজনীতি করে ষে মানুষের মন জয় করা যায় না, তার প্রমাণ গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাঁদের রায়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আগামী দিনে ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলাতেও বিজেপি করার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও জানান মলয়। ত্রিপুরাতে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করাকে বেআইনি বলে দাবি করে এ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা'। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত সপ্তাহে ত্রিপুরায় গিয়ে মলয় ঘটক, ডেরেক ও ব্রায়ানকে পাশে বসিয়ে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, 'এখানকার মানুষ বামকে ( cpm) দেখেছে। রামকেও ( Bjp) দেখছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাম ( উন্নয়ন ) কে দেখবে'।
