ওঁদের আঙুলের কারসািজতে ফোটে ফুল। সুচ সুতোর এ-ফোঁড় ও-ফোঁড়ে গাছে গাছে পাখি নাচে.. মাছ খেলে জলে... ওঁরা করেন নকশি কাঁথার কাজ... সূক্ষ্ম হাতের কাজে নকশা ফোটান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নিঝুম দুপুরে আলো-অন্ধকার ঘেরা শান্ত গ্রাম্য উঠোনে টুকরো টুকরো রঙের ছবি খেলে। শাড়ি-চাদর-কুর্তি-ওড়না বা আসনে প্রাণ পায় মনের খেয়াল। নকশি কাঁথার কাজ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আজ আর্থিক সাবলম্বী। তাঁদের অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে কাঁথা শিল্প। পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেলা বা হস্তশিল্প মেলায় স্টল দিতে পারছেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপণনেও সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার।
advertisement
শাড়িতে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী-র মত সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নকশি কাঁথার কাজে। সংসারে আয় বাড়ায় মহিলারা দেশের বাইরেও যাচ্ছেন প্রদর্শনী করতে। তবে সরকারি সাহায্যে বিদেশে প্রদর্শনীর সুযোগ চাইছেন মহিলারা। নকশি কাঁথার কাজে ঝুঁকছে নতুন প্রজন্মও। সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ক্রেতারাও।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ,রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনাতে প্রসিদ্ধ নকশি কাঁথার কাজ। তবে এ বাংলায় জনপ্রিয়তা বহুদিনের। বিশেষ করে বর্ধমান-বীরভূমে নকশি কাঁথাশিল্পের কদর বিশ্বব্যাপী। সরকারি সাহায্যে নতুন করে উৎসাহ পেয়েছেন নকশি কাঁথা শিল্পীরা।