মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার যথাযথ সময়েই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। রেলমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে, মেট্রোরেলের আধিকারিকদের নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে বলেন। তাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কলকাতা মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ নিজে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সচিবের সঙ্গে কথা বলে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন।
advertisement
প্রথম থেকেই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেল ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জমি জটিলতা ঘিরে কাজ শুরু হতেই পেরিয়ে যায় কয়েক বছর। ফেজ ১-র কাজ শেষ হয়ে গেলেও কবে উদ্বোধন হবে, তা নিয়ে সমস্যা চলতেই থাকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রকল্প চালু হলেও, কেন্দ্র বনাম রাজ্য তরজা অব্যাহত। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দেই তৈরি হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো । এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ বরাদ্দ রেলের, বাকি ২৬ শতাংশ নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে রাজ্যকে।বাবুল সুপ্রিয়র আরও অভিযোগ, কলকাতায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যে ইলেকট্রিক বাস চলছে , সেই বাসের গায়ে কোথাও কেন্দ্রের নাম লেখা নেই। এমনকি তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ফলে উদ্বোধনের পরও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ঘিরে রাজনৈতিক তরজা রয়ে গেলই। রেলের আমন্ত্রণ পত্রে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সল্টলেকের বিধায়ক সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নাম রয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁদের নামও রাখা হয়েছে। যদিও রাজ্যের আমন্ত্রিত এই তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা কেউই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। তাঁদের আরও দাবি, তাঁরা যাবেন বলেও মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কোনও অনুমোদন দেননি।
রাজনৈতিক তরজা চলছেই। তবে ৩৬ বছর পরে ফের মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি রয়েছে। রাজনীতি ভুলে তাই মেট্রো যাত্রা নিয়ে মেতে সল্টলেকবাসী।
---আবীর ঘোষাল