আজ, রবিবার সকালে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রায় ২ মাস হতে চলল শমীক বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু, বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি এখনও গঠন করা হয়নি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ওই কমিটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে শমীকের। জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR শুরু করতে পারে বলে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতিতে ভোটার তালিকা নিয়ে শমীকের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা করতে পারেন।
advertisement
এছাড়া রাজ্যে দলের আগামী কর্মসূচি নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সোমবার সকালে সুনীল বনসলের সঙ্গে কলকাতায় ফেরার কথা শমীকের। ওইদিন একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই সঙ্গে ওই দিন ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে আইসিসিআর-এ সকাল ১১টায় বিজেপির ছাত্র নেতাদের সম্মেলন হবে। সঙ্গে থাকবেন সুনীল বনসল।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল ‘এক দেশ এক ভোট’ কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় স্তরে দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে, এদিন রাজ্য বিজেপির নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকের পর তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু অলিখিত দায়িত্ব দিয়েছে দল, সেটাই তিনি পালন করছেন। দল বললে পার্টি অফিসও পরিষ্কার করতে তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেন।
একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ছাব্বিশের নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেবেন। তবে এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি এরাজ্যে আন্দোলন সংঘটিত করায় বিজেপির কাছে একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি এ রাজ্যের তৃণমূল স্তরে বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করা নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ সেকথাও একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের পদাধিকারীরা। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নবগঠিত কমিটি কতখানি আদি নব্য দন্দ্ব ঘোছাতে সক্ষম হবে তা ভোট পর্বেই প্রমাণ হতে পারে।