ইতিমধ্যেই এই ৭ জন জেলা সভাপতির নামের তালিকা তৈরি হয়েছে বলেও খবর। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা সংগঠনে বড় পরিবর্তনের সম্ভবনা তুঙ্গে। বিজেপি সূত্রে খবর, ১৫ অগাস্টের মধ্যে ৪৩ টি সাংগঠনিক জেলায় জেলা কমিটির তৈরির নির্দেশ। আগে জেলা কমিটি হবে, তারপরই রাজ্য কমিটি তৈরি হবে। চলতি বছর মে মাসের মধ্যেই বিজেপি তার ৪৩ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯ টি সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে।
advertisement
তবে জেলা সভাপতিদের নাম প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বুথ এবং মণ্ডলস্তরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। গোষ্ঠী কুন্দল কাটিয়ে সংগঠনিক শক্তি মজবুত করার নির্দেশ এবং পরামর্শ বারংবার দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, একাধিক সংগঠনিক জেলায় স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠে এসেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের থেকেই। দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা কিংবা হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই জেলা থেকে কলকাতার দফতরের বাইরে জেলা সভাপতিদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেও দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফার্মাসিস্টের চাহিদা জীবনে কোনওদিন কমবে না, কীভাবে এই পেশায় আসা যায়? কী পড়াশোনা করবেন জানুন
স্বজনপোষণের অভিযোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগও। বিজেপি সূত্রে খবর, এমনকী এই সকল অভিযোগ জমা পড়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাছেও। এই সকল অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার সাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদলের সম্ভাবনা গাঢ় হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে। তবে শুধু জেলা সভাপতি বদল নয়, জেলা কমিটি তৈরির ক্ষেত্রেও আরএসএস ঘনিষ্ঠদেরকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বিজেপি গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর এমনই।
পূর্বে বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন স্তরে পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও আরএসএস ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য বেশি দেখা গিয়েছে। তবে শুধু আরএসএস ঘনিষ্ট নয় জেলা মন্ডল কিংবা বুথ স্তরে নেতৃত্ব বাছাই এর ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং কর্মঠ কর্মীদের উপরেই জোর দিচ্ছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর সে কারণেই অভিযোগহীন জেলা সভাপতি বাছাই ও নিয়োগের উপর লক্ষ্য রেখে সাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বদলের সম্ভাবনা বঙ্গ বিজেপিতে।
সুস্মিতা মণ্ডল