পাশাপাশি পঞ্চায়েতে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তো থাকছেই। সরাসরি প্রার্থী করা হতে পারে প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের। এমনই ভাবনা চিন্তা চলছে মুরলীধর সেন লেনে বলে দলীয় সূত্রের খবর। সম্প্রতি হেস্টিংসের অফিসে পঞ্চায়েত ভোট রণকৌশল নিয়ে বৈঠকও করেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডেরা। সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে সবথেকে বেশি জোর দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দিলীপ ঘোষ প্রভাবশালী, কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করতে হবে,' দলিল কাণ্ডে সুর চড়ালেন কুণাল
পঞ্চায়েত ভোটে যারা প্রার্থী হবেন তাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের কেউ প্রার্থী হতে চাইলে, অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রতিবাদীরা আসুক বিজেপি চায়। এরা কেউ প্রার্থী হলে তো অন্যায় নেই'। তেইশে গ্রামের ভোট। বিজেপির ধারনা, গ্রামগঞ্জে এমন অনেকই রয়েছেন, যাঁদের চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রপিছু থাকত মোটা টাকার টার্গেট, জ্যাম করা হত সার্ভার! মনে করছে ইডি
পাশাপাশি, নজর দিতে হবে রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিবাদীদের দিকেও। শাসক-বিরোধী এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছেও গিয়েছে বলেও খবর। তাতে বলা হয়েছে, বঞ্চিতদের খুঁজে বের করতে হবে।জানতে হবে তাঁরা ভোটে লড়তে রাজি কিনা। ভোটে লড়তে রাজিদের তালিকা তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একদিকে, প্রতিবাদীদের টিকিট দিয়ে, পঞ্চায়েতে প্রার্থীপদ নিয়ে দলের কোন্দল এড়ানো। অন্যদিকে, শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভকে কাজে লাগানো। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ভোটকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।