এদিন সকাল-সকালই ভবানীপুরে প্রচার শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার। প্রচার করতে-করতেই তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ের স্বাদ একবার পেয়েছে বিজেপি, আবার চেষ্টা করব। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারের স্বাদ একবার চাখতে দিয়েছি, আরেকবার দেব।' কিন্তু প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জেতার সম্ভাবনা কতটা দেখছেন তিনি? বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, 'নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রেখে মানুষ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ভোট দেবেন। আমরা জয় নিয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী।'
advertisement
যদিও এদিন সদ্যপ্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)-কে দেখা যায়নি প্রচারে। প্রচারের শুরুতেই এ নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসে সুকান্ত মজুমদারের দিকে। যদিও দিলীপকে প্রশংসায় ভরিয়ে তিনি বলেন, 'দিলীপ দা আমাদের স্টার ক্যাম্পেনার। শুভেন্দু অধিকারীও তাই। সবাই আসবে। আমি একজন কর্মী। আমি কাজ শুরু করেছি। একে-একে সবাই আসবে।'
আরও পড়ুন: তিনি দিলীপ ঘোষ নন, পূর্বসূরির প্রশংসা করেও স্পষ্ট বোঝালেন সুকান্ত
প্রসঙ্গত, এদিন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশ মুখার্জী রোড ও সুহাষিনী গাঙ্গুলি রোডের ক্রসিংয়ে মিত্র ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন বিজেপির সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি। এই স্কুলেই প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকেই প্রচার শুরু করে কার্যত মমতার পাড়ায় গিয়েই তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়়ে দিতে চাইলেন বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি৷ শুধু তাই নয়, ওই জায়গা থেকে একটি বাঁক ঘুরলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি৷ ফলে নতুন বিজেপি সভাপতির ভবানীপুরে প্রচারের স্থান নির্বাচনের মধ্যেই রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ যদিও এদিন প্রচারের মাঝেই বাধার মুখে পড়ে যেভাবে পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার, তা নিয়ে ফের আলোড়ন পড়তে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে।