বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বদলে ক্ষোভের কথা সামনে এসেছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বিজেপি নেতা-কর্মীরা সল্টলেকের দলীয় অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপির এ রাজ্যের নেতাদের পা ধরে নতুন জেলা সভাপতিকে সরানোর আর্জিও জানান। ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এর মধ্যে। এই ক্ষোভ সামলাতে এবার তাই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি। জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ নেতাদের বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিদায়ী কয়েকজন সভাপতিকে রাজ্যের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চা খাইয়ে সৌরভই নিয়ে গিয়েছিল সিনিয়রদের ঘরে, তার পরে ৬ জন মিলে তিন ঘণ্টা টানা ‘নির্যাতন’?
রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলা নেতৃত্বকে বিক্ষুব্ধ নেতাদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা। এর মধ্যে ১৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নতুন মুখ এনেছে বিজেপি। তাই বিদায়ীদের বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা দিয়ে আপাতত ড্যামেজ কন্ট্রোলের কথা ভাবছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় জেলায় গ্রিভান্স সেলও তৈরি করবে বঙ্গ বিজেপি। কারও কোন অভাব অভিযোগ থাকলে বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেই সেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এছাড়াও, জেলা স্তরের নেতারা এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে অনুমতি নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলীয় কোনও নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। নিয়ম ভাঙলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বঙ্গ পদ্ম শিবিরের এক সূত্রের দাবি, কারও মনে ক্ষোভ তৈরি হলে কথা বলে সমস্যা মেটাতে হবে। কোনও ভাবেই পথে নেমে আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না। পুরোনো ও নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে সক্রিয় করতে হবে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রীতিমতো অস্বস্তিতে বঙ্গ পদ্ম শিবির। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের পর এবার একদিকে সংগঠন মজবুত করা অন্যদিকে, দলীয় ক্ষোভ মিটিয়ে সবাইকে এক হয়ে চলার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির দাওয়াই কতটা কাজে আসে তার উত্তর দেবে সময়ই।