বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ তৃণমূল সরকার সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই অযোগ্য এবং অশিক্ষিতদেরই স্বীকৃতি দিয়েছে। এই সরকার কাটমানির সরকার। আদালতের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ধীরে ধীরে সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই অযোগ্যরা ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।’ পাশাপাশি বিজেপি শিবির বলছে, ‘ আমরা চাই কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছিল সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা নিশ্চিত বেআইনি সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা সরাসরি জড়িত।’
advertisement
আরও পড়ুন- দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে বদল!ভাঙবে উইনিং কম্বিনেশন?রইল সম্ভাব্য একাদশ
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই এ বার চাকরি বাতিল করল খোদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আমলে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করল এ বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪-এর টেট এবং ২০১৬-এর নিয়োগ হওয়া এই শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা গতকাল রাতেই চিঠি দিয়ে জানানো হল বিভিন্ন জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসে এই শিক্ষকরা টেট ছাড়াই শিক্ষকতার কাজ করছিলেন।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইকে গোটা বিষয়টি দেখতে বলা হয়। এর পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করে। ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিতে পারায় তাদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ।