এফসিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বীণা মজুমদারের পেনশন অ্যাকাউন্ট ছিল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিউ আলিপুর শাখায়। বীণাদেবী পেনশন পেতেন ৫০ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় ২২,৪০০ টাকার কিছু বেশি।
কী ভাবে গত তিন বছর মা বীণা মজুমদারের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা তুললেন শুভব্রত ? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিউ আলিপুর শাখায় দুটি অ্যাকাউন্ট ছিল বীণা মজুমদারের। টাকা না থাকায় ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টটি আগে বন্ধ হয়ে যায়। চালু থাকে তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে, পেনশনভোগীদের বছরে একবার ব্যাঙ্কে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
advertisement
কিন্তু এক্ষেত্রে সেসব নিয়ম মানাই হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পর পর দু’বার ব্যাঙ্কে মায়ের নামে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন শুভব্রত। ওই লাইফ সার্টিফিকেটে সম্ভবত শুভব্রতই সই করেছিলেন। সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখতে এক কর্মীকে পাঠানো হয়েছিল বেহালার বাড়িতে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে মোটা অর্থের লোভ দেখান শুভব্রত। ওই কর্মী ব্যাঙ্ককে জানান, বীণা মজুমদার জীবিত। ফলে, মায়ের পেনশন তোলা আরও সহজ হয়ে যায় শুভব্রতর পক্ষে।
গোটা তথ্য জানাতে ইতিমধ্যে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। আরও তথ্য পেতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শুভব্রত’র বাবা গোপাল মজুমদারকেও। বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক কী ভাবে আসত সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে দোকান থেকে এই রাসায়নিক কেনা হত সেই দোকানমালিককেও জেরা করতে পারে পুলিশ।