আইনজীবী শুভেন্দু মোহন রায় জানান, ‘বেহালায় শিশুমৃত্যুকে ঘিরে অশান্তি ঝামেলা ভাঙচুরের ঘটনায় সকলকেই জামিনের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।’ ধৃতদের থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত হয়নি, দাবি অভিযুক্তদের আইনজীবীর। বেহালায় চৌরাস্তায় পথদুর্ঘটনা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মোট এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধবাবুর এবারের লড়াইটা খুবই কঠিন ছিল! কিন্তু উনি তো ফাইটার, ব্যক্তিত্বটাই আলাদা’
advertisement
ঠাকুরপুকুর থানায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারার 304(||)। ঠাকুরপুকুর থানায় ঝামেলা ভাঙচুর-সহ মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর মামলা। ধারাগুলি হল– 323/324/326/307/146/148/149/151/152/427/435/436/332/353 IPC, 3&4 PDPP ACT, 7(A)/8(C)/9/12 WBMPPO অ্যাক্ট। এছাড়া বেহালা থানায় ঝামেলা, ভাঙচুর, মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ধারাগুলো হল, 324/326/147/148/151/152/427/435/436/332/353 IPC, 3&4 PDPP ACT, 7(A)/8(C)/9/12 WBMPPO অ্যাক্ট।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের নজরে ৩০ প্রাথমিক শিক্ষক, কীভাবে হয়েছিল চাকরি? নিজামে তলব
বেহালা ও ঠাকুরপুকুরে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা মারধর ও ভাঙচুর আগুন জ্বালানোর ঘটনায় ৩৫ জন গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলায় ৩৫ জনই বুধবার জামিন পান। পুলিশ সূত্রে খবর, জেব্ররা ক্রসিংয়ে তিন নম্বরে গাড়ির পিছনে লরি ছিল। শিশুর বাবা অটো থেকে নেমে দুটো গাড়ি ছেড়ে লরির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এতটা নিচে ছিল যে ড্রাইভার দেখতে পারেনি বাবা ও ছেলে রাস্তা পার হচ্ছেন। গাড়িগুলি ক্রসিংয়ে ছিল একটা বাস, একটা ‘ছোটা হাতি’ ছিল পাশে, তার পাশে অন্য গাড়ি ছিল।
ওই অন্য গাড়ির পিছনে ঘাতক মাটিবোঝাই লরি ছিল। সেই লরির সামনে দিয়ে যখন বাবা ও ছেলে পার হচ্ছিল তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের কাছে ঘাতক গাড়ির চালকের দাবি, তিনি দেখতেই পাননি যে তার গাড়িতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও সিসি ক্যামেরা অন্য কথা বলছে। সিসি ক্যামেরায় স্পষ্ট ঘাতক লরি ধাক্কার পরে দাঁড়িয়েছিল কিছু সেকেন্ড। তার মানে চালক বুঝতে পারে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও পালিয়ে যায় লরি।
ARPITA HAZRA