ট্রেনে কেউ যাচ্ছিলেন কাজের জায়গায়,কেউ ফিরছিলেন বাড়ি,কেউ বা আবার সুস্থ হওয়ার আশায় যাচ্ছিলেন চিকিৎসকের কাছে।কেউ একা, কেউ সপরিবারে। আর একটা দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছে অনেকের জীবন। যে শিশু মায়ের কোলে ছিল, দুর্ঘটনা তাকে পিতৃ-মাতৃহারা করেছে। কারও বাবা ফিরছিলেন কাজের জায়গায়, এখন গুরুতর আহত। কবে পরিস্থিতি আগের মতো স্বাভাবিক হবে, জানে না কেউ। কেন্দ্র সরকার – রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে ঠিকই। কিন্তু এমন শিশুরা আছে যাদের মাথার ওপর কেউ নেই। তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন।
advertisement
রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিত্যরূপানন্দ জানালেন, ‘‘রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনাথ আশ্রম চালায়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় যেসব শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে, অথবা তাদের অভিভাবক গুরুতর আহত হয়েছেন, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সি সেই সব শিশুর পড়াশোনা সহ সমস্ত দায়িত্ব আমরা নেব। প্রয়োজনে ১৮ বছর পর্যন্ত আমরা তাদের দেখব।’’ যোগাযোগ করার জন্য একটি ই মেল অ্যাড্রেস (rkvmsecretary@gmail.com)দেওয়া হয়েছে।
মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশার রেল দুর্ঘটনা যেসব শিশুকে অনাথ করেছে, বা যাঁদের অভিভাবক গুরুতর আহত, তাঁদের পড়াশোনা-সহ সমস্ত আগামিদিনের সমস্ত দায়িত্ব নেবে ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন।