আগের প্রকল্প অনুযায়ী, লাইনটি বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত চলবে, যার দৈর্ঘ্য 12.50 কিমি (7.77 মাইল)।বি টি রোড ধরে বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ২০১০ সালে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে ২০৬৯ কোটি টাকা।ওই রাস্তায় দু’টি পুরনো পাইপলাইন সরিয়ে ৬৪ ইঞ্চির দু’টি নতুন পাইপ বসানোর জন্য কলকাতা পুরসভা এবং রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়।
advertisement
বি টি রোডের নীচ দিয়ে টালা-পলতা জলপ্রকল্পের ছ’টি পাইপলাইন গিয়েছে।এই পাইপলাইন সরানোর কাজেই আটকে আছে এই মেট্রো প্রকল্প। সূত্রের খবর, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে পাইপ লাইন সরিয়ে পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করবে নির্মাণ সংস্থা। রেল বাজেটে এখনও অর্থ দেওয়া হয় এই প্রকল্পের।
ব্রিটিশ আমলে পলতায় গঙ্গা থেকে জল তুলে তা শোধন করে টালা ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য বি টি রোডের নীচে পাইপ বসানো হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সড়কের নীচে পানীয় জলের মূলত চারটি পাইপ রয়েছে। তার মধ্যে ৭২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি বড় পাইপ সরানোই সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। তবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে সেটা করা সম্ভব।মেট্রো রেলের এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরেও৷ মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ কোনও একটা পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই বন্ধ হবে কলকাতার জল সরবরাহ৷ তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।