অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এবারে গ্রেফতার করা হল হোটেলের ম্যানেজারকে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে ওই ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় দমকলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় যে হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না ছিল না জলও। হোটেলে দাহ্যবস্তু রাখা ছিল। এছাড়াও, ওই হোটেলে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকেই জানেন কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারা অভিযোগ করেন। আগে থেকে পুরসভা কে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। পুরসভার তরফে পুর কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যাতে দমকলের আধিকারিকরাও থাকবেন। তারা এই সমস্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: আগুন নেভানোর মতো জল-ও ছিল না? পুড়ে মরে গেল ১৪ টা মানুষ, তদন্তের নির্দেশ মমতার
এরপরেই, পদক্ষেপ করে পুলিশ। দমকলের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় হোটেলের ম্যানেজারকে। তাঁকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
দমকলের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এরপরেই ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রসঙ্গত, মেছুয়া বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলা হঠাৎ করেই আগুন লাগে বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকার ওই হোটেলে। হোটেলের তিন থেকে ছ’তলার মধ্যে ছিল বোর্ডারদের ঘর। স্থানীয় সূত্রে খবর, আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত জলও ছিল না ওই বিল্ডিংয়ে। ঘটনায় দুই শিশু সহ ১৩ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ওই হোটেলেরই বিভিন্ন ঘরে। অগ্নিকাণ্ডের সময় পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে মারা গিয়েছেন একজন।
আরও পড়ুন: সারারাত জেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতার
ইতিমধ্যেই, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যেভাবে ওই পরিস্থিতিতে আটকে থাকা ৯৯ শতাংশ মানুষকে দমকলবাহিনী উদ্ধার করেছে সেই বিষয়টিরও প্রশংসা করেছেন তিনি৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়দেরও৷