তিনি জানান, অন্যান্য বার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন মারফত গিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থাগুলি। এবার ঢাকা থেকে কিছু আধা সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে গিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ গিল্ডের পক্ষ থেকে তাঁরা জানিয়ে দেন, বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে সব স্তরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন মারফত গিল্ডের কাছে আবেদন কর তে হবে বাংলাদেশি প্রকাশকদের৷ এর পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি মিললেই বইমেলায় অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থাগুলি৷ যদিও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও আবেদন সরকারিভাবে গিল্ডের কাছে জমা পড়েনি বলেই জানিয়য়েছেন ত্রিদিববাবু।
advertisement
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জলেসের আগুন ঠেকাতে এখন এটাই ভরসা, গোলাপি এই পাউডার আসলে কী, জানেন?
পাশাপাশি ত্রিদিববাবু স্পষ্ট করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যান্য যে প্রকাশনা সংস্থা সহ অন্যান্য স্টল বইমেলায় অংশ নেবে, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও তাঁরা বদ্ধপরিকর। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কোনও স্টল বইমেলায় করা হলে সেটা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা৷
৪৮ তম কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি। বইমেলার ইতিহাসে এই প্রথম থিম কান্ট্রি হিসেবে যোগ দিতে চলেছে জার্মানি। বৃহস্পতিবার সেই উপলক্ষেই দিল্লির গোথে ইনস্টিটিউটে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিল্ডের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতে জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকেরমান, গোথে ইনস্টিটিউট সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর মারলা স্টুকেনবার্গরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে দূষণ ইস্যুতে কলকাতা বইমেলা থেকে মুখ ফিরিয়েছিল জার্মানি। তারপর এই প্রথম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে চলেছে জার্মানি৷