পরিবারের তরফে শ্রীকান্ত বেরা মহেশতলা থানার পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকে মহেশতলা থানার সামনে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাসের নেতৃত্বে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের অপসারণের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় মানুষ জন। পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। থানার দেওয়ালেই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের অপসারণের দাবি-সহ একাধিক বিষয়ে পোস্টারও সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশের তরফে পাল্টা সুমন্তর বিরুদ্ধেই পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লজ্জার কলকাতা, চোর সন্দেহে যুবকের বুকে পা সিভিক ভলান্টিয়ারের! গোটা দেশে ঘুরছে এই দৃশ্য
আরও পড়ুন: এত অমানবিক! কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকর্ম গোটা দেশে নিন্দিত, দেখুন...
জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কালীপুজোর দিন রাতে নুঙ্গি স্টেশন বাজারে একটি অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। তারপর সেখানে পুলিশের ওপর চড়াও হয় কিছু মানুষ। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় পুলিশকে। যদিও মহেশতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টরের বেধড়ক মারেই সুমন্ত বেরা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে'। যদিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন্ত বেরার পরিবারের তরফে পুলিশকে মারধর করার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। আক্রান্তের দাদা সুকান্ত বেরার কথায়, 'পুলিশ নিজের দোষ ঢাকতেই মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে। প্রয়োজনে আমার ভাইয়ের ওপর পুলিশ যেভাবে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে সে ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হব।'