আরও পড়ুন : বিধায়ক অফিস থেকেই 'উধাও' বিধায়কের নাম! আজব কাণ্ড রাজ্যের 'এই' এলাকায়! পেছনে আসল কারণ কী?
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শনিবারই জানিয়ে দেন, বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ডেপুটি স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন তিনি শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন না। কারণ, রাজ্যপালের নির্দেশ মতো তিনি শপথবাক্য পাঠ করালে পরোক্ষে বিধানসভার স্পিকারকে অপমান করা হবে। অন্যদিকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, “রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই কিছু বলব না। তবে সংসদীয় রীতি বলে একটা শব্দ আছে, সেটা সকলের মনে রাখা উচিত।”
advertisement
আরও পড়ুন : পথের কাঁটা খোদ রাজ্যপাল! বিধায়ক হিসেবে তাঁর শপথে 'দেরি' নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয়
এরপরেই বালিগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় ডেপুটি স্পিকারের পরিবর্তে স্পিকারকে দিয়েই শপথবাক্য পাঠ করতে চান বলে আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি পাঠান বাবুল। সেই চিঠি ট্যুইট-ও করেন তিনি।
তবে রবিবার বাবুলের এসেই অনুরোধ খারিজ করে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, ভারতীয় সংবিধানের “১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার ক্ষমতার ভিত্তিতে ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছি। তাঁর কাছ থেকে বাবুল শপথগ্রহণ করবেন।” বাবুলের দাবি সংবিধানের সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে জানান স্বয়ং রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই সংক্রান্ত ট্যুইট বয়ান স্পষ্টতই জানিয়েছে, ‘১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়র প্রকাশ্যে মাননীয় স্পিকারের দ্বারা শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।’
ফলত, যা দাঁড়াচ্ছে এখনও কার্যত জট কাটল না বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নিয়ে। স্পিকার নাকি ডেপুটি স্পিকার, শেষ পর্যন্ত বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন কে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।