শেহজাদ বলেন, “আমাদের আধিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে।” পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন তিনি। শেহজাদ বলেন, “একজন বর্ষীয়ান আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা। শঙ্কর ঘোষের উপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। গতকাল দুপুরেও বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাওয়ের ওপর হামলা হয়েছে। তিনিও আদিবাসী নেতা। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি। এটা তালিবানি কালচার।”
advertisement
নাগরাকাটায় বিজেপি-র সাংসদ এবং বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্য দফতরে ভাঙচুর চালানো নয়। এই ঘটনায় ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল৷ বুধবার সকালে ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে রয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, যাদবপুরের সাংসদ তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা। এ ছাড়া, রয়েছেন সাংসদ ও রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরা গিয়ে সেখানকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবে ছয় সদস্যের এই দল। এ ছাড়া, দলীয় কিছু কর্মসূচিও রয়েছে।