এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকায় আমরা ত্রাণের কাজে গিয়েছিলাম। আমরা কোনো জমায়েত সেখানে করিনি। কালকে যদি আমরা চাইতাম, তাহলে এখানে যাদের নাম আমরা পড়ছি, তারা কেউ জীবিত থাকত না। ভিতরে সমস্ত আদিবাসীরা তীর, ধনুক নিয়ে তৈরি। বলেছেন, দরকার হলে সাঁতরে আমরা ওপারে যাচ্ছি, আমরা ছাড়বো না। আমরা মানুষের এই চরম দুর্দিনে কোনো প্রাণহানি চাই না, কোনো রক্তপাত চাই না। প্রতিরোধ বিজেপি করছে না, এটা ভুল। কারণ সংবাদমাধ্যমে বিজেপির বহু প্রতিরোধের ঘটনা আসছে না। এটা মনে করার কারণ নেই যে, সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা মসৃণ ভাবে ঘুরছেন। প্রতিরোধ করেই বিজেপি গ্রামে ঢুকছে। কিন্তু সর্বত্র তো সেটা সম্ভব নয়। আপনি ত্রাণ দিতে গেছেন। আর সেখানে কিছু মৌলবাদীরা জমায়েত হয়ে আপনার ওপর হামলা করবে, এটা কি প্রত্যাশিত ছিল?’
advertisement
সোমবার ত্রাণ দিতে গিয়ে নাগরাকাটায় আক্রান্ত হতে হয় মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদকে। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি সাংসদ। রাজনৈতিক সতীর্থকে সৌজন্য দেখিয়ে খবর নিতে সটান হাসপাতালে পৌঁছে যান মমতা। দেখা করেন আক্রান্ত বিজেপি সাংসদের সঙ্গে। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও এদিন কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। পরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”বিজেপি সাংসদের অবস্থা স্থিতিশীল। উনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।”