শুক্রবার এই কর্মসূচিতে নেমেই হল বিপত্তি। লিফটে আটকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ডেপুটি মেয়র। শুক্রবার তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযানের জন্য বেছে নিয়েছিলেন ৬৭ নং ওয়ার্ডকে। তপসিয়া পিকনিক গার্ডেন এলাকায় শুরু হওয়ার কথা ছিল তার এই অভিযান। প্রায় যথাসময়ে শুরুও হয় এই অভিযান। তপসিয়া এলাকার একটি সরকারি মানসিক হাসপাতালের অন্দরে পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালের লাগোয়া বেশ কয়েকটি উঁচু আবাসন রয়েছে। সেখান থেকে নোংরা ছড়ানোর ঘটনায় সতর্ক করেন সেখানকার আবাসিকদের। এরপরেই তিনি প্রবেশ করেন হাসপাতালের ভেতরে।
advertisement
আরও পড়ুন : পশ্চিমী ঝঞ্ঝা…! নিম্নচাপ…! আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তোলপাড়? আইএমডি-র বড় আপডেট
হাসপাতালের অন্দরে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও বিপত্তি হয় হাসপাতালে ঢোকার পরে। উপরতলা পরিদর্শন করে নিচে আসার সময়, ধারণ ক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত লোক নিয়ে ওঠার দরুন লিফটি আটকে পড়ে। দুটি ফ্লোরের মাঝে লিফট আটকে যাওয়ায় বন্ধ লিফটের ভেতরেই আটকে পড়েন প্রত্যেকে। লিফটের ভেতরেই আটকে যান ডেপুটি মেয়র সহ স্থানীয় পৌর পিতা, হাসপাতালের সুপার এবং অন্যান্য পুর আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : মাছের ল্যাজা দিয়ে এ কী করলেন-বাঙালি মহিলা…? চমকে গেল নেটপাড়া! দুর্বার গতিতে ভাইরাল ভিডিও
প্রায় ৩৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে আটকে থাকে লিফট। ভিতরে ফ্যান কিংবা এসি না থাকায় দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় কিছুক্ষণ পরে। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় দমকল আধিকারিকদের। তবে তাঁরা পৌঁছনোর আগেই লিফট থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় অতীন ঘোষ-সহ বাকিদের।
মাত্র ৮ জনের ধারণ ক্ষমতা-সহ এই লিফটে প্রায় ১৫ জনের বেশি আরোহীকে কেন তোলা হয়েছিল সেই প্রশ্ন উঠছে। লিফটের ভিতরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। রক্তচাপ নেমে যায় তাঁর। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিপত্তিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও, হাসপাতাল প্রসঙ্গে ভুয়সী প্রশংসা করেন অতীন ঘোষ। হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে তিনি ধন্যবাদ জানান হাসপাতালের সুপার-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের।