তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, বাম- সকলেই ময়দানে নেমছে।এলাকার বিধায়ক অতীন ঘোষ। দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিক। কলকাতার নাগরিক পরিষেবা প্রদানে ডেপুটি মেয়রের ভূমিকা সামলেছেন। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুদায়িত্বও সামলেছেন। পুরভোটে এবারে তিনি নিজেও প্রার্থী৷
আরও পড়ুন: পুরভোটের নিরাপত্তায় কলকাতা পুলিশেই আস্থা, থাকবে না সিভিক ভলেন্টিয়ার
শনিবার বিকেলে এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থী কার্তিক মান্নাকে নিয়ে বর্ণময় প্রচার সারলেন অতীন ঘো৷ষ। বৃষ্টিস্নাত বিকেলেই কার্যত রাত নেমেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কার্তিক মান্নাকে নিয়ে তার মধ্যেই জনসংযোগ সারলেন অতীনবাবু।
advertisement
হুডখোলা জিপে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে সীতা জয়সওয়ারা। এবারের বিদায়ী কাউন্সিলর তিনি৷ এলাকার ভূগোল হাতে তালুতে অতীনের।
মুখ চেনা সহ নাগরিক সামনে আসতেই ঘাঁড় নামিয়ে ভোট প্রার্থনা।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ড। পুরসভার ওয়ার্ড শুরু কাশীপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে। পুর পরিষেবার হিসেবে জল, বিদ্যুৎ দাবি এখানেও রয়েছে। তবে এখানে পরিষেবা না পাওয়ার নয়, আরও উন্নত করার চ্যালেঞ্জ শাসকের সামনে।
তবে কাশীপুর মাঝেমধ্যেই শিরোনামে এসেছে বেআইনি নির্মানের অভিযোগ ঘিরে। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ, তদন্তের নির্দেশ আর বেআইনি নির্মাণ ভাঙা। এই বিষয়গুলিকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। টালা ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় কাশীপুরের যানযট মাত্রা ছাড়িয়েছে। জলজমার সমস্যাও রয়েছে কয়েকটি পকেটে।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন প্রত্যাহার দুই প্রার্থীর, কলকাতার দুই ওয়ার্ডে লড়তেই পারবে না বিজেপি!
পুরনো কলকাতার অনেক বড়বড় গো ডাউনের একটা অংশ এই চত্বরকে ঘিরেই আবর্তিত। সেখানে কাজ করেন অনেক মানুষ। তাঁদের একটা বড় অংশে এক নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা।
দক্ষিণ কলকাতার মতো সাজানো গুছনো চেহারা নেই এক নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিহাস ও ভৌগোলিক অবস্থান ঝাঁ চকচকে লুকের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা।
অতীন ঘোষ জানাচ্ছেন, 'সমগ্র কলকাতার উন্নয়ন নিয়েই ভেবে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবনায় গোটা কলকাতাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, আরও হবে। আগে যে চেহারা ছিল উত্তর কলকাতার, তা অনেক বদলে গিয়েছে। আমরা আরও সুন্দর করে গড়ে তুলব এলাকাকে।'
