স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি করিয়ে দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন এই অভিযুক্তরা, এমনটাই অভিযোগ জমা পড়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীও লালবাজারের একজন পুলিশ কর্মী।
আরও পড়ুন: পুরীর ট্রেনে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! আরেকটু হলেই ঘটে যেত মারাত্মক দুর্ঘটনা, আতঙ্কে কাঁটা যাত্রীরা
advertisement
মামলাটি আদালতে উঠলে অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, পেশায় একজন পুলিশ কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো অসৎ উপায় বেছে নিয়েছিলেন অভিযোগকারী? এছাড়াও অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কে কবে কত টাকা করে অভিযুক্তদের দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কথা অভিযোগ পত্রে বলতে পারেননি অভিযোগকারী।
চতুর্থ অভিযুক্ত কার্তিক মান্নার আইনজীবী দাবি করেন, যে যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, কার্তিকের ক্ষেত্রে সেগুলি আদৌ প্রযোজ্য নয়।
সবকিছু শোনার পরে বিচারকের তরফে ২৯ মে পর্যন্ত চার অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া উভয়দিক থেকেই যাতে তদন্ত করা হয়, সেই বিষয়ে সুনিশ্চিত করার কথা বলে আদালত।
সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও কীভাবে অভিযোগকারী পুলিশ কর্মী ঘুষ দিয়ে পরিচিতদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তী নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে উঠছে অভিযোগের ঢেউ, তখন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অন্দরেও এই অভিযোগে উঠছে প্রশ্ন। এর পিছনে আর কে কে রয়েছে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।