এই বিষয় নিয়ে খাদ্য নিয়ামক সংস্থা FSSAI একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল।সেই পরীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলায় গুড়ের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ওই সংস্থা। ত্রিশটি গুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে প্রায় সবগুলোতেই রং এবং কৃত্রিম স্বাদ গন্ধের হদিশ পেয়েছে FSSAI সেই রিপোর্ট বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়েছে ওই খাদ্য নিয়ামক সংস্থা।এছাড়াও এনফোর্সমেন্ট বিভাগ যাতে নল গুড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ,সেই সুপারিশ করেছে।
advertisement
খেজুরের রস শীতে মাত্র তিন মাস পাওয়া গেলেও, সারা বছর নলেন গুড় ও খেজুর গুড় বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। গুড় তিন মাস মজুত রাখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সারা বছর খেজুর,আখ ,তাল ইত্যাদির গুড় যোগান নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।অভিযোগ, এরকম প্রচুর রয়েছে সামান্য রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে,ফুটিয়ে রং এবং স্বাদ গন্ধ ব্যবহার করে গুড় তৈরি হচ্ছে।সে ক্ষেত্রে বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল গুড়।
আরও পড়ুন : বিপজ্জনক সেই বেসরকারি হোটেল ভাঙার কাজ শুরু, ধীরে ধীরে ক্ষতিপূরণ-জট কাটছে জোশীমঠে
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, " চিনি ফুটিয়ে গুড়ের মতো রং করতে গেলে অনেকটা বেশি রং এবং কৃত্রিম গন্ধের প্রয়োজন।যা মানুষের শরীরে ক্ষতি করে।এই রং এবং অন্য রাসায়নিক দেওয়ার ফলে ক্যানসারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।এছাড়াও অন্যান্য রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। "
তিনি এও বলেন , " বাজারে প্রতিযোগিতায় নেমে নকল গুড় অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।সে ক্ষেত্রে যে শিউলিরা খাঁটি গুড় তৈরি করছেন। তাঁদের গুড়ের খরচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পড়ছে।বেশি দাম হওয়ার জন্য তাঁদের গুড় কেউ কিনতে চাইছেন না।ফলে উৎসাহ হারাচ্ছে যাঁরা নির্ভেজাল গুড় বানান, সেই শিউলিরা। সরকারি পদক্ষেপ না হলে, নকল গুড়ের চক্রের ফাঁদে মানুষের জীবন ভয়াবহ হয়ে উঠবে। "