তিন কামড়ার সাজানো গোছানো ফ্ল্যাটটিতে দেখা গেল চারটি বাথরুম এবং প্রতি ঘরে তিনটি করে খাট! আর এমন কাণ্ডই নজর কেড়েছে ইডি কর্তাদের। একবার দেখলেই বোঝা যায়, কোনও স্বাভাবিক বাড়িতে এমনটা হওয়ার নয়। স্বভাবতই খাটের এমন আধিক্যের কারণ নিয়ে রীতিমতো ধন্ধে ইডিআধিকারিকরা। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের (Arpita Mukherjee) রথতলার ফ্ল্যাটের এমন আজব সাজসজ্জা চমকে দিচ্ছে সকলকেই।
advertisement
ওই একই আবাসনে থাকা অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকেই বুধবার টাকার পাহাড় আবিষ্কার করেন ইডি (ED) কর্তারা। তবে অন্য ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই অবাক তদন্তকারীরা। প্রশ্ন ওঠে, ওই ফ্ল্য়াটে কি কোনও 'বিশেষ' ব্যবসা চালাতেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়? কী ব্যবসা চালাতেন তিনি? রহস্যময় এই ফ্ল্যাটের অন্দরসজ্জা ঘিরেই খটকা এখন দানা বেঁধেছে ইডি আধিকারিকদের মনে Arpita Mukherjee| West Bengal SSC Scam।
ব্লক 2-এর 2A ফ্ল্যাটটিতে আছে তিন তিনটি ঘর। চমকে দেওয়া বিষয়, ফ্ল্যাটের চারটি বাথরুমের মধ্যে দুটি বাথরুমকে মাঝখান থেকে বিভক্ত করেই বাথরুম সংখ্যা বাড়িয়েছিলেন অর্পিতা। কিন্তু কেন? আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নাকি ফ্ল্যাটটি তাঁর ব্যবসার কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবাসন কর্তৃপক্ষের তরফে তাতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু ফ্ল্যাটে এত খাট ঢুকিয়ে তবে কোন ব্যবসা খাড়া করার পরিকল্পনা চলছিল অর্পিতার?
আরও পড়ুন : সুতোর বাঁধনে আঁটোসাঁটো পিঠের সৌন্দর্য! খোলা চুল ও টু-পিসে আগুন ঝরাচ্ছেন বাঙালি নায়িকা
বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে অর্পিতার Arpita Mukherjee| West Bengal SSC Scam রথতলার এই আবাসনের অপর ফ্ল্যাট থেকে ২৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ৫ কেজি সোনার বার, ৪.৩১ কোটি টাকার সোনা এবং প্রচুর জমির কাগজপত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। শুধু ঘরের আলমারি বা দেরাজ নয়, টাকা উদ্ধার হয়েছে শৌচাগার থেকেও। সবই পাঁচশো টাকা এবং দু'হাজার টাকার নোট ছিল। প্রায় ১০টি ট্রাঙ্ক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় সেই নগদ টাকা, সোনা। এর আগে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। শুধু বিপুল পরিমাণ নগদ-ই নয়, ৫৮ লক্ষ টাকার সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা এবং ২০টি দামি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে ইডি। যা দেখে তাজ্জব গোটা বাংলা। আগামী দিনে কোন দিকে গড়ায় এই তদন্তের জাল সেদিকে এখন তাকিয়ে আপামর রাজ্যবাসী।