চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, নিজের এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রথমে টাকার মালিকানা নিয়ে সত্যিটা বলতে ভয় পেয়েছিলেন অর্পিতা৷ কিন্তু গত ৪ অগাস্ট ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানান, ওই টাকা এবং সোনার গয়নার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই৷ এই স্বীকারোক্তির জন্য যাতে তাঁর প্রতি নরম মনোভাব নেওয়া হয়, আদালতের কাছে অর্পিতা সেই আর্জিও জানাতে চান বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি৷
advertisement
আরও পড়ুন: মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সায় দিয়েছিলেন পার্থ, চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি ইডির
ইডি-র জেরায় অর্পিতা আরও অভিযোগ করেছেন, সিম্বায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি বেনামী সংস্থাতেও তাঁকে জোর করে ডিরেক্টর করা হয়েছিল৷ ওই সংস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে থাকা শেয়ার তাঁর নামে করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি অর্পিতার৷ পার্থ ঘনিষ্ঠ মনোজ জৈন নামে এক ব্যক্তিই এই কাজ করেছিলেন বলে ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মনোজ জৈন অর্পিতাকে বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সোহিনি চট্টোপাধ্যায় ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে ফিরে এলে ওই শেয়ারগুলি তাঁর নামে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হবে৷
অর্পিতা এমনও দাবি করেছেন, তাঁর অজান্তেই বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটের ঠিকানা একটি সংস্থার অফিস হিসেবে নথিভুক্তি করিয়ে নিয়েছিলেন পার্থ৷ অর্পিতার এই সমস্ত বয়ানকেই পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণে হাতিয়ার করছে ইডি৷