ইডি সম্প্রতি পার্থ ও অর্পিতার বিষয়ে চার্জশিট জমা করেছে, সেই চার্জশিটে বলা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মা হতে চেয়েছিলেন৷ আর তার জন্য দত্তক নিতেও তিনি রাজি হয়েছিলেন৷ সেই বিষয়েও ইডির সন্দেহ বাড়ে৷ তার পর ইডির দাবি, যে সমস্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একটি নথি উদ্ধার করে ইডি৷ সেটিই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট৷ অর্থাৎ, অর্পিতার মা হওয়ার বিষয়ে সায় দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেই কারণেই সন্দেহ বাড়ে৷ আইনজীবীদের মতে, কোনও মহিলা যদি দত্তক নিতে চান, তা হলে তাঁর কোনও রকম নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে না৷ একমাত্র যদি কোনও মহিলা বৈবাহিক বন্ধনে থাকেন, তা হলেই তাঁর স্বামীর নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কী বান্ধবীর বাইরেও নতুন কোনও সম্পর্ক ছিল পার্থ ও অর্পিতার, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টকে 'বড় আপডেট' দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দেবেন নার্সরাই, পশ্চিমবঙ্গেও এবার আধুনিক চিকিৎসার মডেল
এ ছাড়াও উঠে এসেছে মানিক ভট্টাচার্যের কথাও৷ পার্থ ও মানিকের সম্পর্ক নিয়ে অনেককিছু উল্লেখ করা হয়েছে৷ চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের নামে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে৷ ‘মানিক টাকা তুলছেন’, এমন মেসেজে নাকি এসেছিল পার্থর কাছে, দাবি করা হয়েছে ইডির চার্জশিটে৷ আর সেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে সেই সময়ে পার্থ সমস্ত মেসেজ পাঠিয়ে দিতেন মানিককেই৷ কেন এই কাণ্ড ঘটাতেন পার্থ, সেই নিয়েও ধাঁধা তৈরি হয়েছে৷