গত সোমবার আদালতে ১৫২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সেখানেই বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া বিপুল সম্পত্তি নিয়ে বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছেন অর্পিতা৷ তিনি বলেছেন, নিরাপত্তার খাতিরে সত্যি বলতে পারেননি, তিনি ও তাঁর মা চেয়েছিলেন সত্যি বলতে৷ তার পরেই অর্পিতা বলেন, দু’টি ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, তা আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, তাঁর নয়৷ তাই এ বিষয়ে তিনিই (পার্থ) বলতে পারবেন৷ ইডি জানিয়েছেন, গত ৪ অগাস্ট দেওয়া নিজের বয়ান বারবার স্বীকার করেছেন অর্পিতা৷
advertisement
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টকে 'বড় আপডেট' দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দেবেন নার্সরাই, পশ্চিমবঙ্গেও এবার আধুনিক চিকিৎসার মডেল
এ ছাড়াও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে দু’টি কোম্পানির৷ ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট ও সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেজ, অর্পিতা ছিলেন ডিরেক্টর৷ এই দুই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করা হত বলে বলা হয়েছে৷ এ ছাড়া এই দুই সংস্থার নামে স্থাবর সম্পত্তি কেনা হত বলেও চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে৷ অর্পিতার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করতেন পার্থ, দাবি তেমনই৷ অর্পিতা জেনেই ক্লাব টাউনে থাকা তাঁর ফ্ল্যাট টাকা জমা রাখার জন্য দিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে৷
ইডি চার্জশিটে এটাও স্পষ্ট করে দাবি করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না৷ তিনি একাধিক প্রশ্নের উত্তরে না জানার কথা বলছেন, কোনও উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন৷ শুধু তাই নয়, অর্পিতাও নাকি সিজার লিস্টে সই করতে চাননি৷