অনুপম এরপরেই বলেন, “যাদের জন্য মাঠে নেমেছিলাম। লোকসভার আগে সবাইকে এক হয়ে নিয়ে চলতে চেয়েছিলাম। পার্টি হয়তো মনে করছে এটা দরকার নেই। পার্টি যখন চাইছেই না কোনঠাসারা, বঞ্চিতরা মাঠে নামুক। পার্টি হয়ত আত্মবিশ্বাসী যে যাঁরা মাঠে আছে তাঁদেরকে নিয়েই ৪২ এ ৪২ টা বা আরও এক দুটো সিট বেশি পেয়ে যাবে।”
advertisement
একইসঙ্গে এদিন বিজেপির ‘বঞ্চিত’দের বার্তাও দেন অনুপম। বিজেপি সাংসদ বলেন,”আর পাঁচটা নেতার সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। বর্তমান রাজনীতির যা অবস্থা তাতে দল থেকে কাউকে বার করে দিলে একটা সুইপারের চাকরিও কেউ জোটাতে পারবে না। রাজনীতি আমার কাছে ‘চয়েস’। কম্পালসান নয়। আমার নামের আগে DR. আছে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা রাজনীতি থেকে কামাতে এসেছেন। লাথি-ঝাঁটা খেলেও রাজনীতিতেই থাকবেন। বিজেপির অসময়ে দলে এসেছিলাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে বাঁচতে আসিনি। অনেকেই এখন রাজনীতিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। রাজনীতি না করলে না খেতে পেয়ে মরবে। চুরি করাটা তাদের কাছে একটা কম্পালসন। আমি বিজেপির সুসময়ে আসিনি। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা জল মেপে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।”
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে বঙ্গ বিজেপি শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন অনুপম হাজরা। শেষমেষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অনুপম হাজরাকে। তার আগে তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিজেপিতে যারা ‘বঞ্চিত’ তাঁদের নিয়ে পথে নেমে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও যেতে দেখা গিয়েছে অনুপমকে। এরপরেই আজ, রবিবার, ফেসবুক লাইভ করে ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে কথোপকথনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ, দলীয় নেতৃত্বকে খোঁচা ইত্যাদির মাধ্যমে নানাভাবে নিজের বক্তব্যে বিজেপি নেতৃত্বকেই কার্যত নিশানা করলেন অনুপম হাজরা।
আরও পড়ুন : শীতকালে ‘টিউবওয়েলের’ জল গরম থাকে কেন…? ‘আসল’ কারণ জানেন না ৯০%! আপনি ‘ঠিক’ জানেন তো?
বঙ্গ বিজেপির একমাত্র কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন অনুপম হাজরা। কিন্তু যে ভাবে দলের বিরুদ্ধে এবং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য অনুপম সামনে আনছিলেন তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই জায়গা থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে অনুপমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি নেতা অনুপম আছে সেই অনুপমেই। শীতের রবিবাসরীয় দুপুরে আবারও মুখ খুলে দলকে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ফেললেন সাংসদ।