সিবিআই তদন্তকারীদের অনুমান , এসব বন্ধ রাইস মিল গুলির মাধ্যমে গরু পাচারের কালো টাকা হাত ঘুরে সাদা করার চেষ্টা! আর তাই ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে সিবিআই।অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ব্যবসায়ীদের ভূমিকা সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। অনুব্রতর আত্মীয় ছাড়াও পরিচিত ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের, ব্যবসায়ীদের সম্পত্তির পরিমাণও খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে মারাত্মক পরিকল্পনা, প্রসন্ন গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পার্থর!
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বীরভূমে মোট ছয়টি রাইস মিলের সঙ্গে যোগ আছে। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বীরভূমে দুটি রাইস মিলের যোগ রয়েছে। এছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুত বরণ গায়েনের বিপুল সম্পত্তি উৎস খোঁজ করতে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আরও কয়েকজন রয়েছেন। অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তি খোঁজ করতে এবার আরও কিছু অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সম্পত্তি সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে। তবে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ পরিচিত ও আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অনুব্রত মন্ডলের গরু পাচারের টাকাতেই হয়েছিল, তা প্রমাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, তোলপাড় শাসক শিবির!
কারণ সিবিআইয়ের দাবি অনুসারে, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও নথির তথ্য প্রমাণ মিলেছে ঠিকই, কিন্তু তা গরু পাচারের টাকাতেই যে বিপুল সম্পত্তি অনুব্রতর পরিচিত ও আত্মীয়দের রয়েছে, তা প্রমাণ করা সিবিআইয়ের কাছে চ্যালেঞ্জ। অনুব্রত মণ্ডল তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে দাবি সিবিআইয়ের। জেল হেফাজতে থেকে তিনি কি আদৌও সহযোগিতা করবেন? কেন অনুব্রতর জেল হেফাজত? সিবিআইয়ের দাবি অনুসারে, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের।
2০১৫-২০১৯-এর মধ্যে বিপুল সম্পত্তি হয়েছে অনুব্রতর আত্মীয়- পরিজন ও পরিচিতদের। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, পরিচিতদের মাধ্যমে কোম্পানি তৈরি করে বিপুল টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। যা তাদের আয় ও জীবনযাত্রা মানের সঙ্গে মেলে না বলে দাবি সিবিআইয়ের। অনুব্রতর বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন আইনেও অভিযোগ করা দরকার। এমনকী গোপন জবানবন্দিতেও নাম উঠে এসেছে অনুব্রতর নাম। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকারীদের সর্বশক্তিমান সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ভূমিকা পালন করেছিলেন, দাবি সিবিআইয়ের। ফলে তাঁকে জেল হেফাজতে রেখেও তদন্তর মূলে পৌঁছাতে চায় সিবিআই।