সোমবার দিল্লির আদালতে পেশের সময় অনুব্রতকে সাংবাদিকরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ফল কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু এর আগে দল নিয়ে নানা মন্তব্য করলেও এদিন একেবারেই বদলে যান অনুব্রত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি তিনি। তবে অন্যান্য সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কেষ্ট।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন দলের নানা বিষয়ে মন্তব্য করছিলেন অনুব্রত। দল পাশে আছে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কেন অনুব্রতর এই ভোলবদল? তাঁদের মতে, নিজের গ্রেফতারি নিয়ে বিপর্যস্ত হলেও মেয়ের গ্রেফতারি মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। স্বাভাবিক কারণেই মেয়ের জন্য অসম্ভব চাপে রয়েছেন কেষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘…গলিল না সোনা’, আদালতে তোলপাড় ফেলে দিলেন পার্থ! অভিষেককে নিয়ে শোরগোল ফেলা মন্তব্য
তাছাড়া অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকার কথা বললেও, অনুব্রতর বিরোধী শিবিরের অনেকের গুরুত্ব সংগঠনে বেড়েছে। সেই কারণেও ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে, এদিন অনুব্রত জানান, মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে শনিবার ৩০ মিনিট কথা হয়েছে তাঁর। যতক্ষণ কথা বলতে চেয়েছেন বাধা দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। সুকন্যা জামিনের আবেদন করেছেন শুনে তিনি বলেন, ”ঈশ্বর যেন ওর জামিন মঞ্জুর করে।”
আরও পড়ুন: সে কী! সব তৈরি, তবু যাদবপুরে ভেঙে ফেলা হবে ৫ তলা বিল্ডিং! কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
ইডি হেফাজত শেষে মেয়ে সুকন্যা দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অনুব্রত। একথা জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে বলা হয়। এর পর জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন অনুব্রত। সেই আবেদন মঞ্জুর করে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে জেলের নিয়ম মেনে কথা হয় ২ জনের। আর তারপর থেকেই ভোলবদল অনুব্রত মণ্ডলের।