ইতিমধ্যেই এই গরুপাচার মামলায় এনামূল হককে সাহায্য করার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী তথা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সায়গল হোসেন। এখন হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। তদন্ত করতে গিয়ে সায়গলকে জেরা করেও এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে বীরভূমে গরু বোঝাই লরি ঢোকা থেকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সাহায্য করত পুলিশের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ, কলকাতার কড়া নিরাপত্তায় একাধিক নাকা চেকিং
শুধু তাই নয়, পশু হাটগুলিতেও পুলিশ মদতে এনামূল ও তাঁর অন্য সহযোগী আব্দুল লতিফরা যে ভাবে কাজ চালাতেন সেই সকল তথ্যকে হাতিয়ার করতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে বীরভূমের এক পুলিশকর্মীকে এই গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তাতে পুলিশ যোগে তথ্য আরও জোরালো হয়েছে। এমনকী লাভের টাকা থেকে একটা অংশ যেত পুলিশের কাছেও। কিন্তু কার নির্দেশে এই পাচারকারীদের সাহায্য করত পুলিশ? নেপথ্যে কী অনুব্রত? জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন: 'পরবর্তী টার্গেট আপনি', রুশদির হামলার পর খুনের হুমকি জেকে রাওলিংকে!
এবার পুলিশ যোগ নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চায় বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এখানে শেষ নয়, ইতিমধ্যে বীরভূম জেলার পুলিশ কর্মীর একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই, তদন্তের স্বার্থে যাদের তলব করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্র দাবি, এই গরু পাচারে যে সকল পুলিশকর্মী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন সায়গল হোসেন এমন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার। তাঁকে জেরা করেও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই।