প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি জামিন পেতেই প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কেষ্টও শীঘ্রই জামিন পাবেন? গ্রেফতার হওয়ার পর মণীশ কোঠারি বলেছিলেন, ‘আমি কিছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া।’ ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই এ কোন ভূমিকায় বিধায়ক! যা করলেন, চমকে উঠল সকলে
এরই মধ্যে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে এলে যা ইচ্ছে তাই করবেন, ক্ষতি হবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।’ মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিরাট নির্দেশ, দিল্লি থেকে আসছেন নতুন অফিসার! ঘুরে যাবে খেলা?
এর আগে আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হল না। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের জামিনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।