গরু পাচার মামলায় তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চান। জিজ্ঞাসাবাদের টেবিলে বসে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করতে চান। এহেন ইচ্ছাপ্রকাশ করেই বুধবার সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, খবর এমনই।
বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআই দফতরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। যদিও চিঠি দিলেও বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে কোনও রকম সংকেত দেওয়া হচ্ছিল না। তবে অনুমতি মিললে বৃহস্পতি সকাল সাড়ে ১০টা বা তার কিছু পরে নিজাম প্যালেসে আসতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন সম্ভাবনা ছিলই। সেই মতোই সকাল ৯.৫০ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে ঢোকেন অনুব্রত মণ্ডল।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত ২.৫০, এসএসসি অফিসে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী! মাঝরাতে হাই কোর্টের বেনজির নির্দেশ
প্রসঙ্গত রাজ্যে গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এই পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বিএসএফের এক জওয়ানের। এই মামলাতেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়েছে বিকাশ মিশ্রাকে। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন এই মামলায় প্রথম নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় তিন বার নোটিস ইস্যু করে সিবিআই।
আরও পড়ুন: 'চুরি করলে পালাতেই হবে', কাকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ? অপেক্ষা করছেন ফলের
এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় সোজা চলে গিয়েছিলেন এসএসকেএম। সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর চিনার পার্কের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। তারপর ফের তাঁকে তলব করে সিবিআই। তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন,চার সপ্তাহ পুরো বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মে মাসের ২১ তারিখের পর তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন। দেখা গেল ২১ মে আসার দিন দুয়েক আগেই তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন।
---অমিত সরকার