প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণ আগেই নিজাম প্যালেসে আসেন অনুব্রতর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে। গভীর রাতে তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে আনা হয়। গতকালই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হবে অনুব্রতর। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় একেবারেই চুপ ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। বেশ খানিকটা বিধ্বস্থও দেখায়।
advertisement
১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পরে সন্ধ্যায় তাঁকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল-জবাব শেষে 'কেষ্ট'কে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপরেই তাঁকে নিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দেয় সিবিআইয়ের বিশাল কনভয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গে তৎপর ইডি-সিবিআই, পরপর গ্রেফতার দুই হেভিওয়েট, প্রশ্নে বাম-কংগ্রেসের ‘সেটিং’ তত্ত্ব
যে নিজাম প্যালেসে যাওয়ার জন্য বারে বারে সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন মধ্যরাতে তাঁকে নিয়েই জেট গতিতে নিজামপ্যালেসে প্রবেশ করে বিশাল কনভয়। বিধ্বস্ত চেহারায় নিজেই গাড়ি থেকে নেমে নিজাম প্যালেসের লিফটে উঠে যান 'গুড়-বাতাসা' নিদানকারী কেষ্ট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হেফাজতে একরাত কাটিয়ে ফেলেছেন অনুব্রত। যাঁকে দেখলে বীরভূমে এক ঘাটে বাঘে-গরুতে জল খায়, সেই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির পরে প্রথম রাতে নিজাম প্যালেসে পৌঁছনোর পরে কী করলেন? কী খেতে দেওয়া হল তাঁকে? কোথায়ই বা শুতে দেওয়া হয়েছে?
জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে নিজাম প্যালেস, দীর্ঘ পথ একেবারে চুপচাপ ছিলেন বীরভূমের বাঘ! বারে বারে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন। কখনও কখনও মুছেছেন চোখের কোনাও। সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় রাত কেটেছে অনুব্রতর। ক্যাম্প খাট বিছিয়ে তাঁর বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। পাশেই রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার । জানা গিয়েছে, ডায়েট চার্ট মেনেই খাবার দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। ভোররাতে খাবার খেয়েছেন অনুব্রত।