শিশুর মৃত্যুর পর থেকেই শিশুটির মা এবং বাবা বেপাত্তা ছিল। গতকাল গভীর রাতে এই শিশুটির বাবা বিজয় বড়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, শিশুটি বারবার বাথরুম যেতে চাইছিল এবং সেই সময় তার বাবা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সেই সময় শিশুটিকে সজোরে চড় মারেন তার বাবা বিজয় বড়াল। সেই সময় শিশুটি সজোরে বাথরুমে দেওয়ালে লাগে এবং জ্ঞান হারায়। তারপরই তার বাবা বাড়ি লক করে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার সরকারি হাসপাতালে এই এক কারণেই অতিষ্ট রোগীর পরিবার, দুর্ভোগ উঠছে চরমে
শিশুটির দিদা অভিযোগ করেছিলেন, '৬ নভেম্বর শিশুটির মৃত্যু হয়। বলা হয়েছিল বাথরুমে বালতির জলে ডুবে নাতির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমার সন্দেহ হয় এর নেপথ্যে অন্য রহস্য রয়েছে। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হই।' প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, বিজয় বড়ালের মদ্যপানের সময় শিশুটি বাথরুম নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তাতেই বিরক্ত হয় বিজয় এবং রাগের মাথায় শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। দেওয়ালে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সে। অন্যদিকে, বিজয় শিশুটির মাকে জানায় বাথরুমে বালতির জলে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত চারিদিকে, মশা কাদের বেশি কামড়ায় জানেন? সতর্ক থাকুন
তদন্তে নেমে পুলিশ আনন্দপুরে ওই শিশুটির বাবা-মায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে তালাবন্ধ পেয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা চিৎকার শুনে ফ্ল্যাটে গিয়ে জানতে পারেন বাথরুমে বালতিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের ওই শিশুর বাবা জানান, এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তাদের সন্তানের নিউমোনিয়া হয়েছে। এদিকে, গোটা ঘটনায় সন্দেহ হয় শিশুর দিদার। তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের। তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রাক করে শিশুর বাবা-মাকে খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর শিশুর বাবাকে টানা জেরা করা হয়। জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ, বাবাই খুন করেছে ওই শিশুটিকে।
সৌরভ তিওয়ারি