রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতাটি না পড়েই রাজনৈতিক রং লাগিয়ে প্রচার করা হয়েছে। আর এরপরই বিজ্ঞাপন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে সেই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিল দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। শেষমেষ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাসক দলের প্রশ্ন, দিনভর এই বিজ্ঞাপন যেভাবে শেয়ার হয়েছে তাতে রাতে বিজ্ঞাপন তুলে নিয়ে আদৌ কী কোনও লাভ হল!
advertisement
আরও পড়ুন: ভোলে বোম রাইস মিলে CBI অভিযান, অনুব্রতর মেয়ে-স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ
'ভূতের মতন চেহারা যেমন র্নিবোধ অতি ঘোর/ যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, কেষ্ট বেটাই চোর। উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত, শুনেও শোনে না কানে। যত পায় বেত না পায় বেতন, তবু না চেতন মানে। বড় প্রয়োজন, ডাকি প্রাণপণ চীৎকার করি ‘কেষ্টা’—যত করি তাড়া নাহি পাই সাড়া, খুঁজে ফিরি সারা দেশটা।' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতার এই লাইনগুলিই সম্প্রতি রাজনৈতিক কারণে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। জন্মাষ্টমীর দিন সকালে তাই ওই সংস্থার বিজ্ঞাপনে ব্যবহার হয় একটি লাইন, 'কেষ্ট ব্যাটাই চোর'। আর এই লাইনকে ঘিরেই শুরু হয় তরজা।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর ২ রাইসমিলের বিরুদ্ধে শুরু হয় CID তদন্ত, রহস্যজনকভাবে বন্ধও হয়ে যায়! চাঞ্চল্যকর তথ্য
তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দল এই লাইনের সঙ্গে তুলনা করেছে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর। আর এই বিজ্ঞাপনকে রবীন্দ্রনাথের লেখার বিকৃতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এ দিন কুণাল ঘোষ বলেন, "গুজরাতের সংস্থা বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি কোনও মামলার পক্ষে বা বিপক্ষে বলছি না। যেভাবে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তাতে রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা হয়েছে। যে বা যারা কেষ্টাকে চোর বলে কটাক্ষ কটাক্ষ করে, লক্ষ করা উচিত সে চরম অনুগত। এটাই ছিল তার চরিত্র৷ ফলে যে লাইন ব্যবহার হল তা রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা হল। বিচ্ছিন্নভাবে এই লাইনের ব্যবহার হয়েছে। সংস্থার অনুবাদকদের কেউ বলে দেননি, রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা যায় না। যার সঙ্গে রসিকতা করা হল, তা যথাযথ নয়। কবিতাটির মূল স্পিরিট চর্চা না করে এটা করছে সংস্থা।"
ABIR GHOSHAL