আরও পড়ুন– উৎসবের আনন্দ আর আধুনিকতা প্রযুক্তির সঙ্গত, হাওড়া ব্রিজ সেজে উঠেছে আলপনায়
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের তুলনায় কাউন্সিলর সজল ঘোষের পরিচিতি বা দলে সাংগঠনিক প্রভাব অনেকটাই কম। কিন্তু সেই কাউন্সিলর সজল ঘোষ দুর্গাপুজোর উদ্বোধনের চমকে অনেকটাই পিছিয়ে দিলেন তাঁরই দলের সাংসদ নেতা সুকান্ত মজুমদারকে। কলকাতার বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। ৮৮ তম বর্ষে এবারে যে পুজো কমিটির থিম অযোধ্যার রাম মন্দির। বিজেপি সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদার তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটের একটি পুজো উদ্বোধন করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করেছিলেন। সেই পুজোর থিমও রাম মন্দির।
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ১৭ অক্টোবর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
অমিত শাহকে পুজো উদ্বোধন করার আবেদন জানানোর কথা সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েও ছিলেন। অন্যদিকে সজল ঘোষের পুজো হিসেবে পরিচিত উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবারের পুজো উদ্বোধন করার জন্য আবেদন জানানো হয় অমিত শাহর দফতরকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের আবেদনে সাড়া না দিলেও সজল ঘোষ পরিচালিত পুজোর ডাকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সবাইকে কার্যত অবাক করেই সোমবার সেই পুজোর উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে কলকাতায় সজল ঘোষের পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহর আসার নেপথ্যে যিনি রয়েছেন তাঁর নাম এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অমিত শাহর সঙ্গে একদিকে যেমন সম্পর্ক সুমধুর শুভেন্দুর। তেমনি আবার সজল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। সূত্রের খবর, যখনই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তখন শুভেন্দু অধিকারীই সজল ঘোষকে প্রস্তাব দেন যে, ২০২৩ সালের শারদ উৎসবের থিম যেন রাম মন্দির করা হয়। শুভেন্দুর প্রস্তাব মেনেই সজল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে কথা দিয়ে বলেছিলেন, তাই হবে। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তিগতভাবে অমিত শাহকে সজল ঘোষের পুজো উদ্বোধনে আসার অনুরোধ জানান বলে খবর। শেষ পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার নয়, সজল ঘোষের রাম মন্দিরেই এলেন শাহ। তবে দুর্গাপুজোর বাজারে বাংলার রামমন্দির কতটা গেরুয়া আবেগে শান দিতে পারবে? সুকান্ত- সজলের শাহী উদ্বোধন ইস্যুতে জয়-পরাজয়ের হিসেবে নিকেশের মাঝেই যার উত্তর দেবে সময়ই।