প্রত্যাশিত ভাবেই অমিত শাহের সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বাকি বিষয়গুলি কেন্দ্র দেখে নেবে বলেও রাজ্য় নেতাদের জানিয়েছেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন ছিলেন না মিঠুন? তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
advertisement
এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর রাত ৯টার কিছু পরে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য় দফতরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি-র প্রথম সারির রাজ্য় নেতা এবং বাংলা থেকে নির্বাচিত কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে বৈঠক করেন অমিত শাহ। আধ ঘণ্টা মতো চলে বৈঠক। বৈঠক শেষ করে ই এম বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। আগামিকাল নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
সূত্রের খবর, কলকাতায় আসছেন বলে নিজে থেকেই এ দিন রাজ্য় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, 'বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।'
আরও পড়ুন: 'সিবিআই-এ চাকরি করি, কাউকে ভয় পাই না', বলছেন অনুব্রতকে গ্রেফতার করা সুশান্ত
বৈঠক শেষে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা বিজেপি-রই আছে। আমাদের তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে।' যদিও দলের রাজ্য় নেতাদের মধ্য়ে দ্বন্দ্ব দূর করতে অমিত শাহ কোনও বার্তা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি দিলীপ। তিনি বলেন, 'আমরা তো ঐক্য়বদ্ধই আছি।' তবে সূত্রের খবর, এ দিন রাজ্য়ে দলের সংগঠন নিয়েও শুভেন্দু- সুকান্তদের থেকে খোঁজ নেন শাহ। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।
অমিত শাহকে সামনে পেয়ে রাজ্য় বিজেপি নেতারাও শিক্ষক নিয়োগ, আবাস যোজনা সহ তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অভিযোগ জানান তাঁরা। বিজেপি সূত্রে খবর, এ সব অভিযোগ শুনে অমিত শাহ বলেন, 'গোটা বিষয়টি কেন্দ্র দেখছে, আপনারা সংগঠন মজবুত করুন। বাকিটা আমরা দেখছি।'
এ দিনের বৈঠকের পর বিজেপি রাজ্য়ে নেতাদের কাছেও মোটের উপরে পরিষ্কার, পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে সেভাবে ভাবিত নন মোদি- শাহরা। বরং পাখির চোখ ২০২৪-এর নির্বাচনই। সেখানে ভাল ফল করার জন্য় সংগঠন মজবুত করতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মঞ্চ হিসেবে ব্য়বহার করতে হবে।