পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবারই রাজ্যে ফেরার কথা ছিল রাজ্যপালের। সূত্রের খবর, অমিত শাহ শুক্রবার অমিত শাহ সময় দিতে পারেননি। সেই কারণেই দ্বিতীয় বার কথা বলতেই আরও একদিন অপেক্ষা করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের ট্যুইট
অমিত শাহ-রাজ্যপালের বৈঠকের অ্যাজেন্ডা কী, আপাতত চর্চা তাই নিয়েই। একটা বড় অংশই মনে করছেন রাজ্যপাল ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মত জানাতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। আবার অন্য একটি মতও রয়েছে। অনেকই বলছেন, রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে আর বহাল থাকবেন কিনা তাই নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। বিজেপির ভিতরেই রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তার বিরোধিতার হাওয়া তৈরি হয়েছে। কারণ তাঁর বিজেপি-ঘেঁষা মন্তব্য ও মনোভাব বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই মনে করেন একাধিক নেতা। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সরাতে চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এমনকি জল্পনা এমনও রয়েছে, রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠজনও আর চান না তিনি এ রাজ্যে এই দড়িটানটানিতে থাকুন।
তাছাড়া কেন্দ্রের তরফে মন্ত্রিসভার বদলের মতো রাজ্যপাল রদবদলেরও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। রাজ্যপাল কি তাহলে সেই হাওয়া বুঝতেই দিল্লি-অভিমুখে গেলেন, তা নিয়েই জল্পনা।
প্রসঙ্গত রাজ্যপাল এই সফরে গিয়ে দেখা করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে। কথা বলেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান কাউইন্সিল ফর কালচারাল রিলেশান-এর প্রেসিডেন্ট বিনয় সহস্রবুদ্ধের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে অধীর চৌধুরীর। দেখা হয়েছে দেশের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল গিরিশ চন্দ্র মুর্মূরও।