TRENDING:

Gardenreach money recovery: টালির বাড়ি থেকে খাটের নীচে ১৭ কোটি! আমিরের কীর্তিতে হতবাক গার্ডেনরিচ

Last Updated:

কীভাবে ফুলে ফেঁপে উঠল নাসির খান এবং তার ছেলের অবস্থা? ইডি সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সাল থেকেই অনলাইন গেমিংয়ের এই কারবারে হাত পাকাতে শুরু করে আমির৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা:  এক সময় টালির বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন তারা৷ বন্দরে ট্রাক থেকে মাল ওঠানো নামানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নাসির খান৷ নাসিরের ছেলে আমির কাজ করত কল সেন্টারে৷ অথচ সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থাই বদলে যেতে শুরু করে ২০১১ সাল থেকে৷ যদিও সেই ভাগ্য বদলের পিছনে যে কোটি কোটি টাকার খেলা রয়েছে, তা অবশ্য বুঝতে পারেননি গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার বাসিন্দারা৷ কারণ নিতান্ত ছাপোষা দোতলার বাড়ির মধ্যে যে কোটি কোটি টাকা মজুত করা রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা৷
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খান৷
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খান৷
advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মাত্র কয়েক বছর আগেও গার্ডেনরিচ এলাকার অ্যাজবেস্টস মোড়ে টালির বাড়িতে ভাড়া থাকত নাসির খানের পরিবার৷ ২০১১ সালে নিজের একটি ট্রাক কিনে ব্যবসা শুরু করেন নাসির৷ তখনও কল সেন্টারেই কাজ করত নাসির পুত্র আমির৷ ওই সময় থেকেই নাসির খান এবং তাঁর পরিবারের অবস্থা বদলাতে শুরু করে৷

আরও পড়ুন: 'গার্ডেনরিচে টাকা উদ্ধারে ওনার কপালে ভাঁজ কেন?' ফিরহাদকে নিশানা করলেন সুজন

advertisement

অ্যাজবেস্টস মোড় থেকে তাঁরা উঠে আসে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার অপরিসর গলির মধ্যে অবস্থিত একটি দোতলা বাড়িতে৷ যদিও বাইরে থেকে সেই বাড়ি ছিল নিতান্তই সাদামাটা৷ ফলে কখনওই খান পরিবারকে নিয়ে বিশেষ সন্দেহ দানা বাঁধেনি প্রতিবেশীদের মনে৷ ফলে শনিবার ইডি হানা এবং ঘণ্টায় ঘণ্টায় কোটি কোিট টাকা উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভিড় বেড়েছে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার সরু গলিতে৷ ছাপোষা এই বাড়িতেই যে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা ভাবতে পারছেন না কেউই!

advertisement

কিন্তু কীভাবে ফুলে ফেঁপে উঠল নাসির খান এবং তার ছেলের অবস্থা? ইডি সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সাল থেকেই অনলাইন গেমিংয়ের এই কারবারে হাত পাকাতে শুরু করে আমির৷ এর পর তৈরি করে ফেলে অনলাইন গেমিং অ্যাপ৷ যা আদতে ছিল মানুষকে প্রতারণা করার ফাঁদ৷ সাধারণ মানুষকে দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয়ের টোপ দিয়ে প্রথমে কিছু টাকা পুরস্কার দেওয়া হত৷ এই ভাবে আস্থা অর্জন করার পর ব্যবহারকারী মোটা টাকা বিনিয়োগ করলেই সেই টাকা গায়েব করে দিত আমির৷ গোটা দেশে তার এই প্রতারণার জাল বিছিয়ে দিয়েছিল আমির৷

advertisement

আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ-বেলঘড়িয়ার সঙ্গে জোর টক্কর গার্ডেনরিচের! দশ ঘণ্টায় মিলল ১৮ কোটি

ইডি সূত্রে খবর, আমির এবং অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনের নামে ই-নাগেটস নামে অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে বছর দেড়েক আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়৷ অভিযোগ জানায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

কিন্তু তার পরেও আমির বা তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কেন পুলিশ ব্যবস্থা নিল না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ আমির অবশ্য বর্তমানে নিখোঁজ৷ এ দিন আমিরের গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ অথচ ওই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ বাকি টাকা কোথায় গেল, আমিরকে হাতে না পেলে তার সন্ধানও পাওয়ায়ও কঠিন বলে মানছেন ইডি কর্তারা৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Gardenreach money recovery: টালির বাড়ি থেকে খাটের নীচে ১৭ কোটি! আমিরের কীর্তিতে হতবাক গার্ডেনরিচ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল