ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কিষাণমহাসভার তরফে জানানো হয়, "এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের জয়, মোদী সরকারের কর্পোরেটমুখী কৃষিনীতিকে ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে, সেই সাথে এটা কৃষকসমাজের মধ্যেকার অন্তর্নিহিত আন্দোলনের বিপুল শক্তিকে সামনে তুলে ধরেছে। দেশব্যাপী গণআন্দোলনের চাপে মোদি সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেও কর্পোরেটমুখী কৃষিনীতি অব্যাহত রেখেছে। আন্দোলনের সময়কালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মোদী সরকার কৃষকদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'যেখানে প্রয়োজন, সেখানে লোক দেব', পুরসভায় এ বার বিভাগীয় বদলি: ফিরহাদ
এই প্রেক্ষাপটে আগামী ৬ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এই দিন মান্দসৌর দিবস। দেশের বিভিন্ন ব্লক হেডকোয়ার্টারে ধর্না ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হবে। আগামী ২৩-২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিহারের রোহতাস জেলার বিক্রমগঞ্জে এআইকেএম-এর জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনের সূচনায় ২৩ সেপ্টেম্বর সেখানে এক বিশাল কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে যাতে বিহারের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ৫০ হাজার কিষাণ প্রতিনিধি অংশ নেবেন এবং সেই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
জাতীয় সম্মেলন এবং মহাপঞ্চায়েতের মূল দাবী হলো, দেশের কৃষিকে সাম্রাজ্যবাদ ও কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না। কৃষকদের কাছ থেকে ফসলের ক্রয়ের আইনি গ্যারান্টি বাস্তবায়ন, কৃষির উৎপাদন খরচ কমানো, খাদ্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি, সমস্ত গরীব মানুষদের মধ্যে খাদ্যশস্যের কার্যকর বিতরণ, ভূমি সংস্কার এবং ভাগচাষীদের অধিকারের গ্যারান্টি, কৃষকমুখী নীতি এবং পরিকাঠামো নির্মাণ, সেচ ইত্যাদি প্রশ্নগুলি। জাতীয় সম্মেলনের প্রক্রিয়ায় সারা দেশে ১০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।
UJJAL ROY