কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ই এন টি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আফতাবের জন পরীক্ষা করে তাজ্জব। অটোস্কোপ দিয়ে কান পরীক্ষা করেই তারা বুঝতে পারেন,ভিতরে কোনও কিছু নড়াচড়া করছে। কোনও জ্যান্ত পোকা কানের ভিতরে আছে বলে অনুমান করেন চিকিৎসকরা।
advertisement
তবে কোনও ধরণের অস্ত্রোপচার বা অপারেশন নয়,বরং সিরিঞ্জের সাহায্যে স্টেরাইল ওয়াটার দেয়া হয় আফতাবের কানের ভিতরে ধীরে থেকে তীব্র বেগে।
আরও পড়ুন - Dilip Ghosh On CBI: সিবিআই এর ওপর ভরসা রাখছেন দিলীপ ঘোষ, তবুও ভোট পরবর্তী হিংসার সিবিআই তদন্তে তিনি ব্যথিত
আর এরপরই চিকিৎসকদের চোখ ছানাবড়া। জ্যান্ত তেঁতুল বিছে। বেরিয়ে আসে কান থেকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ই এন টি বিভাগের চিকিৎসক ডক্টর দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় জানান, "অপারেশনের মাধ্যমে যদি বিছেটি বের করে আনার চেষ্টা করা হত, তবে বিপদ বাড়ত। বিছেটি হয়ত কানের ভেতরে আরও কোনও ক্ষতি করতে পারত। বরং স্টেরাইল ওয়াটার দেওয়ায় বিছেটি কানের ভেতর অক্সিজেনের অভাব বোধ করে, তাতেই বেরিয়ে আসে। তবে ওইভাবে কানের ভিতরে জ্যান্ত তেঁতুল বিছে নিয়ে ওই ব্যক্তি কিভাবে ছিল,ভাবতেই পারছি না।"
এখন সুস্থ আছেন মহাম্মদ আফতাব। তার কাছেও অবিশ্বাস্য গোটা ঘটনাটা। কানের ভিতরে জ্যান্ত তেঁতুল বিছে নিয়ে যেভাবে ঘন্টাখানেক তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করেছিলেন তা এখনো তার কাছে দুঃস্বপ্ন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কানের পর্দায় বিছে কামড়ায়নি। তবে তেঁতুল বিছের নড়াচড়ার দরুন যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা ওষুধের সাহায্যে সেরে যাবে বলে মনে করছেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা । আর কান থেকে সাক্ষাৎ তেঁতুল বিছে বের হওয়ার পর চিকিৎসকদের কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবেন তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না মোঃ আফতাব।
ABHIJIT CHANDA